বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিচ্ছে সরকার

অর্থনীতি স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এবারের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিচ্ছে সরকার। পরিকল্পনা মন্ত্রী বলছেন, গতবারের তুলনায় ৫০ ভাগ বেশি বরাদ্দ থাকবে এবারের বাজেটে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বরাবরই অবহেলিত এ খাতে শৃঙ্খলা আনা সহজ নয়। দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে সার্বজনীন করতে হবে সেবা।
সমন্বয় নেই, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সেবার অপ্রতুলতা। হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ছোটাছুটি এখন নিত্যদিনের ভোগান্তি। বরাবরই অবহেলিত দেশের স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতা অনেক বেশি দৃশ্যমান হয়েছে এবার করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর। আসছে বাজেটে তাই এ খাতের বরাদ্দ নিয়ে চলছে আলোচনা।
বিগত বছরগুলোতে জিডিপির ১ শতাংশের কম খরচ হয় স্বাস্থ্যখাতে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৪৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে বরাদ্দ থাকে সবচেয়ে কম। তবে, এবার করোনার কারণে বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাস্থ্যখাত। বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি বাজেট পাসের পরও নতুন করে পরিকল্পনা গ্রহণের সুযোগ থাকছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মনোযোগও বেড়েছে, বরাদ্দ বেড়েছে। সরকার প্রধান রিপিটেডলি বলেছেন, এ খাত ও কৃষিখাত এগুলোকে তিনি উচ্চ অগ্রাধিকার দেবেন। এবং এরা যদি আরও প্রকল্প বাজেট পাস হওয়ার পরেও নিয়ে আসে, আমরা রেডি আছি। স্বাস্থ্যখাতে গত বছরে ছিলো দুইটা মিলে ৯ হাজার কোটি টাকার মতো। এবার আমরা দুইটা মিলে ধরেছি প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা। এক বছরেই বেড়েছে ফিফটি পার্সেন্ট।
চলতি বছরের সংশোধিত এডিপিতে স্বাস্থ্য খাতের ৬৭টি প্রকল্পের মধ্যে ৪৮টিই অবকাঠামো নির্মাণ বিষয়ে। তাই সেবার চেয়ে দুর্নীতির সুযোগ বেশি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাতারাতি সংস্কার না হলেও সার্বজনীন সেবা নিশ্চিত করতে হলে সরকারের পরিকল্পনায় আনতে হবে পরিবর্তন।
অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আগামী অর্থবছরটিও আমাদের করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য-ঝুঁকির বিষয়টির মধ্যে থাকা দরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউট অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, এই করোনায় আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে আমাদের স্বাস্থ্যখাত কতটা ভঙ্গুর। যদি এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্যখাতকে উন্নত করতে পারি, তাহলে দেশের জন্য কল্যাণকর হবে।
চলতি অর্থবছরে সরকারের অন্যান্য খাতগুলোর বিবেচনায় স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের অবস্থান ১১তম।


বিজ্ঞাপন