চট্টগ্রামে চেয়ারম্যান আমজাদ হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড

অপরাধ আইন ও আদালত চট্টগ্রাম

নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে দীর্ঘ একুশ বছর আগে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাতকানিয়া সোনাকানিয়া ইউনিয়ের চেয়্যারম্যান আমজাদ হোসেন হত্যা মামলায় দশ জনকে ফাঁসি ও পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলা থেকে আরো চার জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রোববার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক এ রায় দেন। ফাঁসির আসামির মধ্যে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়্যারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নেজাম উদ্দীনও রয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গনে এ রায়কে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ সময় সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়্যারম্যানের পক্ষে শ্লোগান দেন তার অনুসারীরা। এ সময় নিহত আমজাদ হোসেনের পরিবারেরর পক্ষ থেকে পাল্টা শ্লোগান দেয়া হয়। ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় আসামিপক্ষের অনুসারীরা এবং হাতাহাতিও হয়।

রায় ঘোষণার আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ সময় যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে আদালত প্রাঙ্গনে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর মির্জাখীল দরবার শরীফের ওরশ চলাকালীন অবস্থায় সোনাকানিয়া ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়্যারম্যান ও আত্তয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। হামলার পরের দিন চেয়্যারম্যানের স্ত্রী রোশনা আকতার বাদী হয়ে বিশ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে পুলিশ ও পরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সিআইডির কাছে তদন্তভার ন্যস্ত করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০০ সালের ডিসেম্বরে বিশ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করা হয়।