কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না রাজধানীতে ঢোকা ও বের হওয়া

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন ঢাকা সারাদেশ স্বাস্থ্য

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর সঙ্গে দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকলেও কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না রাজধানীতে ঢোকা কিংবা বের হওয়া মানুষের ঢল। গণপরিবহন না থাকলেও মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে করে দূরপাল্লার গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। শুক্রবার (২৫ জুন) গাবতলী বাস টার্মিনাল এবং আমিন বাজার ব্রিজ এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ছুটির দিন হওয়াতে রাস্তায় ছিল যাত্রী কিংবা জনসাধারণের চাপ। নিজেদের গন্তব্যে যেতে গণপরিবহন না পেয়ে অনেকে পায়ে হেঁটেই রওনা দেন।
শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর গাবতলী চেকপোস্ট ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে বের হওয়ার জন্য গাবতলীতে পুলিশের ব্যারিকেডের সম্মুখীন হচ্ছেন যানবাহনের যাত্রী ও চালকরা। চেকপোস্ট যেখানে চলছিল, তার ৫০০ মিটার আগে ও পরে যাত্রীর জন্য চলছিল প্রাইভেটকার চালকদের হাঁকডাক। যাত্রীদের বিভিন্ন গন্তব্যের জন্য ডাকছিলেন তারা।
প্রাইভেটকার চালক সামাদ বলছিলেন, দূরপাল্লায় না গিয়ে এলেঙ্গা কিংবা ঘাট পর্যন্ত গেলে টাকাও বেশি পাওয়া যায়, সময়ও কম লাগে। এলেঙ্গা পর্যন্ত ৬০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। গাবতলী পুলিশ চেকপোস্ট পার হলেই রাস্তার পাশে সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রাইভেটকার। যাত্রী পরিবহনে মানা হচ্ছে না কোনও ধরনের স্বাস্থ্যবিধি। দেখা যায়নি পুলিশি কোনও নজরদারিও।
নানা কারণে নিজেদের প্রয়োজনে মানুষ বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন। আমিন বাজার ব্রিজের আগেই বিভিন্ন গণপরিবহন থেকে যাত্রী নামিয়ে দেওয়ায় আমিন বাজার ব্রিজ থেকে হেঁটেই গাবতলী পর্যন্ত তাদের আসতে হচ্ছে। রাজধানীতে ঢুকতে গাবতলী চেকপোস্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি থাকলেও ছিল না কোনও তৎপরতা।
সাভার থেকে আসা কালাম বলেন, ‘সরকার লকডাউন দিয়েছে, কিন্তু বিভিন্ন কারণে মানুষকে বের হতে হচ্ছে। যদি কড়াকড়ি বা কঠোর লকডাউনের আওতায় আনা হয় তাহলে লোকজনের অযাচিত চলাচল বন্ধ হবে।’
ধামরাই থেকে আসা উজ্জ্বল বলছিলেন, ‘ধামরাই থেকে ভেঙে ভেঙে গাবতলী পর্যন্ত এসেছি, যাবো আগারগাঁও। আমিন বাজার চেকপোস্টে দেখা গেছে, ট্রাকসহ কাঁচা পণ্যের গাড়িগুলো রাজধানীতে ঢুকছে। এতে করে ব্রিজের ওপর কিছুক্ষণ পরপর যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আমিনবাজার থেকে যারা হেঁটে আসছেন তাদের যেন “মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা”।’
গাবতলী জোনের ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট প্রিয়ংকর রায় বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের তুলনায় আজ গাড়ির চাপ কিছুটা বেশি রয়েছে। প্রাইভেটকার রাজধানী থেকে বের হওয়ার সময় আমরা চালক ও যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’ জনগণ সচেতন না হলে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন