কাশিমপুরে চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উদঘাটন : গ্রেফতার ১

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : গত ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় কাশিমপুর থানাধীন দক্ষিন পানিশাইল পদ্মা হাউজিং প্রকল্পে ব্লক-এ, রোড নং-১, বাড়ি নং-৩৯, নির্মানাধীন বিল্ডিং এর ৩য় তলার বাথরুমের ভিতর উক্ত বাড়ির মালিক আমিনুল ইসলাম খন্দকার @ বাবুল এর অর্ধ গলিত গলাকাটা মৃতদেহ পাওয়া যায়।


বিজ্ঞাপন

কাশিমপুর থানা পুলিশ কর্তৃক উক্ত মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করিয়া ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। যার প্রেক্ষিতে কাশিমপুর থানায় মামলা রুজু হয়।

মামলা রুজু হওয়ার পর তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় কাশিমপুর থানার একাধিক টিম কাশিমপু্র ও আশুলিয়া থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত ঘটনার সন্ধিগ্ধ হিসাবে আসামী জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ(৩৮), পিতা- মোঃ নজরুল হোসেন, মাতা- মোসাঃ সাবানা বেগম, সাং-পূর্ব কুখাপাড়া, থানা+জেলা- নীলফামারী বর্তমান সাং- দক্ষিন পানিশাইল, পদ্মা হাউজিং প্রকল্প (সাদেক এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা- কাশিমপুর, গাজীপুর মহানগরকে তার ভাড়া বাসা হতে ১৬ জুলাই, শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে ধৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার ঘটনা স্বীকার করে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুরির অংশ বাহির করিয়া দেয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গত ১৩ জুলাই, রাত অনুমান ০৮.০০ টার সময় আসামী জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ ভিকটিম এর নির্মানাধীন ৫ম তলা বিল্ডিং এর ৩য় তলায় উঠে ভিকটিমকে ফোন করে বলে আপনার নির্মানাধীন ভবনে ২/৩ জন লোক উঠেছে। ভিকটিম তখন উপরে উঠে টর্সের আলোতে লোক খুঁজতে থাকে কাউকে না পেয়ে ৩য় তলায় ঘটনাস্থল কক্ষে চেক করার সময় পিঁছন থেকে আসামী তার মুখ চেপে ধরে ২০,০০০/- (বিশ হাজার)টাকা চায়।

ভিকটিম টাকা দিতে না চাইলে আসামীর নিকট থাকা ধারালো গার্মেন্টস এর কাটিং ছুরি গলায় ধরে ভয় দেখায়। তখন তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় একপর্যায়ে আসামীর হাত সামান্য করে কেটে ও ‍ছিলে যায়। ভিকটিম বাঁচার জন্য আসামীর ডান হাতের আঙ্গুলে কামর দিলে আসামী ভিকটিমের গলায় ধারালো কাটিং ছুরি দিয়া আঘাত করে। ভিকটিম এর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর আসামী ভিকটিমের পাঞ্জাবীর পকেট থেকে ৯৯৭/- (নয়শত সাতানব্বই)টাকা নিয়ে যায় এবং ভিটিমের মৃতদেহ বাথরুমের ভিতর ঢুকাইয়া দরজা আটকিয়া দেয়।