ক্যায়ছা হুয়া ক্রোড়পতি!

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : তিনি অর্থ ব্যয়ে পত্রিকায় রঙ্গিন বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। তিনি কোন দুর্নীতি করেন নি। ষড়যন্ত্রের শিকার। তার কোন সম্পদ নেই। অথচ বিজ্ঞাপনের মূল্যহার তার এক মাসের বেতন সাপোর্ট করেনা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। নানা কথা বলছেন। আবার সবার কাছে বলেন যে, তার সম্পদের উৎস নাকি শ^শুরালয়। ধনবান মানুষ ওয়াসার তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করে! হতেই পারে। তবে প্রতিবেদকের অনুসন্ধান বলছে ভিন্ন কথা। তার সকল সম্পদ তিনি নিজেই করেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী দাবি করলেও তার নিজের ও শ^শুরালয়ের পরিবার ভিন্নমতের বলে জানাগেছে। তিনি নিজেও হাইব্রিড আওয়ামী লীগ বলে ওয়াসার সিবিএ সূত্রে জানাগেছে। এই গুনধর ব্যক্তি হচ্ছেন ওয়াসার পাম্প চালক থেকে রাজস্ব পরিদর্শকের দায়িত্ব পালনকারী আতাউল করিম।


বিজ্ঞাপন

ঘুষ আর ক্ষমতার দাপটে নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে বেপরোয়া ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব পরিদর্শক সিবিএ নেতা আতাউল করিম। কিন্ত অদৃশ্য কোন এক ক্ষমতার বলে তিনি কোন কিছুই আমলে নিচ্ছেন না। অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। ঢাকা শহরের কুড়িল ও উত্তরায় ২টি বাড়ি, একাধিক ফ্লাট ও প্লট রয়েছে। রয়েছে প্রাইভেট কার। কিশোরগঞ্জের নিজ এলাকায় গড়েছেন প্রচুর বিত্ত বৈভব। রয়েছে ব্যাংক ব্যালেন্স। ৩৫হাজার টাকা বেতনের চলতি দায়িত্বের রাজস্ব পরিদর্শক তিনি। নানা চেষ্টা তদবির করে পাম্প অপারেটর থেকে প্রায় ২বছর যাবৎ রাজস্ব পরিদর্শকের দায়িত্বে আছেন। যদিও রাজস্ব খাতে তার চলতি দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার চাকরি প্রবিধান সম্মত নয়। তিনি ওয়াসার রাজস্ব জোন-৯ এ কর্মরত আছেন। ২জন ব্যক্তিগত সহকারি নিয়োগ দিয়ে সাইট পরিচালনা করান।
উল্লেখ্য, বহিরাগত দিয়ে কাজ করানো সম্পূর্ণ বেআইনী। ৫ জুলাই ২০১৮ইং তারিখে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এক আদেশের মাধ্যমে বহিরাগত নিয়োগ নিষিদ্ধ করে। যার স্মারক নং রা/৮২০২ প্র:রা:ক:-৫/৭/২০১৮ইং।
ওয়াসার রাজস্ব জোন-৩ এর সহকারী পাম্প অপারেটর আশরাফুল ইসলাম ও মো: হাসান কে দিয়ে সাইট পরিচালনা করান। আশরাফুল ইসলাম পাম্পে ডিউটি না করে সাইট পরিচালনা করেন। আতাউল করিমের বেতন ৩৫ হাজার টাকা অথচ তার ২সহকারির বেতন ২০হাজার করে ৪০হাজার টাকা, ড্রাইভারের বেতন ২০হাজার টাকা। টাকার উৎস কি? আতাউল করিমের সম্পদের উৎস জানার জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশন ও ঢাকা ওয়াসার শুদ্ধি অভিযান কমিটির প্রতি আহবান জানিয়েছেন ওয়াসার সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।
উল্লেখ্য, প্রাতিষ্ঠানিক শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে ইতিমধ্যেই আতাউল করিমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যেগ গ্রহন করেছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। চাকরি থেকে বরখাস্ত হতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে।
এ বিষয়ে আতাউল করিমের বক্তব্য নেয়ার জন্যে প্রতিবেদক অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।