করোনা পরবর্তী কালীন সময়ে একজন শিক্ষিকার অনুভব

উপ-সম্পাদকীয়/মতামত

সাবরীনা মান্নান : শিক্ষক হিসেবে তখনই গর্ববোধ করা যায় যখন একজন শিক্ষক ক্লাসরুমে সঠিকভাবে শিক্ষা প্রদান করতে পারে।
করোনাকালীন মহামারী সময়, প্রায় দেড় বছর পর ১২ ই সেপ্টেম্বর ২০২১ স্কুল ও কলেজ খুলতে যাচ্ছে।
শিক্ষিকা হিসেবে আমি অবশ্যই আনন্দিত। বর্তমানে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছি, শিক্ষকতার পাশাপাশি এখন যুক্ত হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতা।
যদিও গত দেড় বছর অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে আমরা শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন বিকাশে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে গেছি। তবুও কোথায় যেন একটা অভাব অনুভব করেছি। শিক্ষক হিসেবে ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান এর আনন্দই আলাদা। আশা করছি আগামীকাল থেকে আবারো সেই আনন্দ ফিরে পাবো।
আমি বর্তমানে ম্যাস্ট্রো ক্রাউন স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছি, আমাদের প্রতিষ্ঠান সরকারি সকল নীতিমালা অনুসরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইতোপূর্বে চালিয়ে গেছে এবং ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাবে আশা করছি।
করোনাকালীন সময়ে সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে যাব ইনশাল্লাহ।
শিক্ষক হিসেবে সকলেরই কিছু নিজস্ব দায়বদ্ধতা থাকে, নীতিগতভাবে শিক্ষকরা সবসময়ই অটল অবস্থানে থেকে যায়। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি মেধা ও মননের বিকাশে শিক্ষকদের দায় বদ্ধতা তুলনাহীন।
একজন শিক্ষক শুধুমাত্র শিক্ষক নন তিনি একই সাথে বাবা ও মায়ের ভূমিকা পালন করেন। বহু বছরের শিক্ষকতা পেশার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি আমি সত্যিই শিক্ষিকা হিসেবে গর্বিত ও আনন্দিত।
আগামী দিনগুলোতে এভাবেই সকল শিক্ষার্থী এবং জাতী ও দেশের স্বার্থে কাজ করে যাব এই অঙ্গীকার রইল।


বিজ্ঞাপন