চিলমারীতে মৃত্যু হওয়া অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ দাফন 

Uncategorized গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন মানবিক খবর সারাদেশ

হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম)  :   কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অজ্ঞাত ব্যাক প্রতিবন্ধী (পাগলের) মৃত্যু হয়েছে। জানাযায় গতকাল শুক্রবার (৯ মে) বিকাল ৪ টার দিকে  চিলমারী উপজেলার, থানাহাট ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা শখের হাট বাজারে, আনুমানিক দুপুর ১২.৩০ মিনিট থেকে দুপুর ২. টার মধ্যে ঐ অজ্ঞাত ব্যাক প্রতিবন্ধী (পাগলের) ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে সখের হাট বাজারের ব্যবসায়ী মজিবর রহমান, আয়নাল হক, হিরু মিয়া, নিয়ামতুল্লাহ নিশুসহ আরো অনেকে বলেন, এই অজ্ঞাত ব্যাক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিটি আমাদের বাজারে প্রায় ৮/১০ দিন থেকে আছে। আমরা ব্যবসায়ীরা তাকে অনেক কিছু খাবার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তাকে আমরা কোন কিছুই খাওয়াতে পারেনি। তিনি সব সময় বাজারের আশে-পাশে ঘুরে বেড়ায়, রাত হলে আবার বাজারে এসে যে কোন দোকানের বারান্দায় শুয়ে রাত কাটান। তার সাথে কথা বলার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু তিনি কোন কথা বলেনি।

গতকালও প্রতিদিনের মতো আমরা তাকে দুপুর ১২.৩০ মিনিটের দিকে বাজারে দেখতে পাই, শুক্রবার হাওয়ায় জুম্মার নামাজের জন্য আমরা সবাই বাড়িতে চলে যাই। নামাজ পড়ার পর পার্শ্ববর্তী এলাকার এক মৃত্যু ব্যক্তিকে দাফন করে, সবাই বাড়ি চলে যাই। বিকাল ৩টার দিকে বাজারে এসে দেখতে পাই, ওই ব্যক্তি বাজারের পিছনে মাটিতেপড়ে আছে।


বিজ্ঞাপন

এবং তার মুখে ও নাকের উপর পিঁপড়া এবং মাছি পড়ে আছে। তখন আমরা সবাই ধরে নিয়ে একটি দোকানের বারান্দায় তাকে রাখি। নেয়ামতুল্লাহ মিশু আরো বলেন, আমি গত পরশুদিন ওই ব্যক্তিকে খাওয়ার জন্য ১ টি রুটি নিয়ে যাই। তাকে খাওয়ার অনেক চেষ্টা করি, কিন্তু তিনি কোন কথা বলেন না এবং কিছু খান না।


বিজ্ঞাপন

তখন আমি ওই ব্যক্তির সন্ধান জানার জন্য ফেসবুকে একটি লাইভ প্রোগ্রাম করি, যদি ফেসবুকে কেউ দেখে তার সন্ধান দিতে পারেন। তারপর আজকে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। পরে চিলমারি মডেল থানার ওসি মহোদয়কে ঐ মৃত্যুর বিষয়টি জানাই।

তখন তিনি এসআই আরিফের নেতৃত্বে একটি দল পাঠিয়ে দেন, তখন তারা এসে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার আয়নাল হককে ডাকেন। এবং বাজারের সবার সাথে পরামর্শ করে মৃত ব্যক্তির সন্ধান জানার জন্য লাশ থানায় নিয়ে যান।

এ বিষয়ে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, আমরা লাশ থানায় নিয়ে আসার পর তার পরিচয় জানার জন্য রংপুর থেকে একটি ক্রাইমসিন টিম এসে ছিলেন।

তারা ও অনেক চেষ্টার পর তার কোন পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি। তখন আমরা ওই লাশটি কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠিয়ে দিই, পরে তারা “আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম” (বেওয়ারিশ লাশ দাফন) কমিটিকে লাশ দাফন করার জন্য দেন এবং তারা লাশ দাফন করেন বলে জানান তিনি।

👁️ 25 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *