সাভারে বিইউপির সাবেক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় মিঠু বিশ্বাস গ্রেপ্তার  

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক  : ঢাকার সাভারে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) সাবেক শিক্ষার্থী ২৫ বছর বয়সী তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় মিঠু বিশ্বাস নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


বিজ্ঞাপন

শনিবার দিবাগত (১৯ অক্টোবর) রাত ১ টায় রাজধানীর তেজগাঁও থানার তেঁজকুনি পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মিঠু বিশ্বাস (৪৪) সাভারের কমলাপুর গোয়ালিও এলাকার এস রাফায়েলের ছেলে।


বিজ্ঞাপন

রবিবার (১৯ অক্টোবর) ভোর ৫ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. হেলাল উদ্দিন।


বিজ্ঞাপন

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৬
অক্টোবর) রাতে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত মিঠু বিশ্বাসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নং-১৯ দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাভারের কমলাপুর গোয়ালিও এলাকার সোহেল রোজারিও (৩৭) ও বিপ্লব রোজারিও (৪০)।

মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী সাভারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ানো শেষে বাসায় ফিরছিলেন। বাসায় গিয়ে দেখেন, তাঁর মা বাসায় তালা দিয়ে পাশের এক চা-দোকানির কাছে চাবি রেখে গেছেন। পরে চা-দোকানির কাছ থেকে চাবি নিয়ে ফেরার পথে সোহেল রোজারিও মদ্যপ অবস্থায় তরুণীকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। কিছু দূর যাওয়ার পর সোহেলের সঙ্গে মিঠু বিশ্বাস ও বিপ্লব রোজারিও এর দেখা হয়। এরপর তাঁরা তিনজন মিলে ওই শিক্ষার্থীকে অনুসরণ করতে থাকেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সোহেল রোজারিও তরুণীকে তাঁর নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। পরে অপর দুই আসামির সহযোগিতায় সেখানে তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। এ বিষয়ে কাউকে জানালে ভুক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা মানবজমিনকে বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মিঠু বিশ্বাস পলাতক ছিলেন। তাঁকে তেজগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানায় আনা হয়েছে। বাঁকিদের ধরতে একাধিক স্থানে অভিযান চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। গ্রেপ্তার আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *