শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলে পল্লীতে শুরু হচ্ছে শুটকি তৈরীর মৌসুম

সারাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা : পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলে পল্লীতে শুরু হচ্ছে শুটকি তৈরীর মৌসুম। আগামী ৫ নভেম্বর থেকে জেলেরা বন বিভাগ থেকে পাশ পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে যাত্রা শুরু করবে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় শুটকী তৈরী সংক্রান্ত নীতিমালা চুড়ান্ত করেছে বন বিভাগ।


বিজ্ঞাপন

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ির আওতাধীন বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী আলোরকোল, মেহেরআলী, মাঝের কিল্লা, নাড়িকেল বাড়িয়া ও শেলারচরে অস্থয়ী ঘর নির্মান করে মৌসুমি জেলেরা সাগরে থেকে মাছ ধরে শুটকি তৈরীর কাজে ব্যস্ত থাকে।

প্রতিবছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার জেলে শুটকি প্রক্রিয়াজাত করনের কাজে নিয়োজিত হয়। দেশের সবচেয়ে বৃহৎ এ জেলে পল্লীর শুটকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা হয়ে থাকে। গত অর্থ বছরে তিন কোটি ৭৫ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেছে। এ বছরেও একই লক্ষমাত্রা নিয়ে জেলেদের পারমিট দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য মাত্রা গতবারের চেয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে।

শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, বন বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবছরে শুটকি প্রক্রিয়াজাত করেনের জন্য ৫০ টি ডিপো ও ৯৫০ টি অস্থায়ী শুটকি ঘর তৈরীর অনুমতি দেয়া হয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, জেলেদের মহাজন ও বহাদ্দারদের নিয়ে এ সংক্রান্ত এক সভায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করাতে বাধ্যতামূলক মাক্স পড়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার মতো ঔষধপত্র সঙ্গে নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, দুবলার মেহের আলীর চরের মিষ্টি পানির বড় পুকুরটি সাগরে ভেঙ্গে যাওয়ায় এবারে জেলেরা চরম পানি সংকটে পড়বে। এছাড়া চরগুলিতে স্বল্পসংখ্যক ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও সেগুলি এখন মেরামতের অভাবে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তিনি জেলেদের কথা বিবেচনা করে এব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।

এদিকে ইলিশ প্রজনন মৌসুমের কারেন জেলেদের মাছ ধরার উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বুধবার থেকে শেষ হচ্ছে। একারনে জেলেরা তাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। রাত ১২টায় নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ার সাথে সাথে তারা ফিসিং ট্ররার নিয়ে সাগরে যাত্রা শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফিসিং ট্রলার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকন।