সড়কে অবৈধ সিএনজি, টমটম ও অটো রিক্সার দৌরাত্ম

চট্টগ্রাম

চলছে নিরব চাঁদাবাজী প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান

 

বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম সিইপিজেড এলাকার কলসীদিখী, আনন্দবাজার সড়কে অবৈধ টমটম ও অটা রিক্সা, ব্যাটারি চালিত এখন যেন নিত্য দিনের ব্যাপার হয়ে লাড়িরেছে। প্রতিনিয়ত এ যান চলাচলের কারণে এ সড়কে অনেকেই পত ও মৃত্যুবরণ করলেও স্থানীয় প্রভাবশালী কতিপয় মহলটি আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সরকারের নিখিদ্ধ হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে ফ্রিপাের্ট কলসী দিখী, আনন্দ বাজার সড়কে মরণাঘাতী যান টমটম, ব্যাটারী চালিত রিক্সা সিএনজি নামধারী ই-ষ্টোক। তবে এ ব্যাপারে স্থানীয়রা অতিযােগ করেন ফ্রিপাের্ট থেকে আনন্দবাজার গামী রাস্তাটি সরু হওয়ার পরও এই রাস্তায় চলাচলরত মরণঘাতী টমটম ও অটো টু ষ্টোকের গতিবেগ থেকে ঘন্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলােমিটারের অধিক। যার কারণে স্থানীয় সরকারী বেসরকারী স্কুলের কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াতের পথে রাস্তায় চলাচলে ঘটে মর্মান্তিক দুর্গটনা। এতে অনেক ছাত্র/ছাত্রী, গার্মেন্টস কর্মী হাত-পা হারিয়ে চিরতরে পঙ্ধু হয়ে পড়েছেন। কিন্তু অসাধু কিছু কথিত স্থানীয় নেতা ও পুলিশের দাপটে চলছে এসব যানবাহনে বেপরােয়া চাঁদাবাজি। প্রতিদিন প্রতিটি টমটম থেকে ১২০ টাকা হারে, ব্যাটারী চালিত রিক্সা থেকে ৪০ টাকা, টু-স্ট্রোক সিএনজি থেকে ১৯০ টাকা হারে গড়ে ৪ শতাধিক এসব নিষিদ্ধ গাড়ী থেকে মাসিক ৫০-৬০ লক্ষ টাকার মতো চাঁদা আদায় করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। তবে এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম ট্রাফিক বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার অফিসে যােগাযােগ করা হলে তারা বলেন, অতিশয় এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা যায বায়, অপর দিকেক এইসব অবৈধ গাড়ী চলাচলের কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চরম উদ্ভিগ্নতা প্রকাশ করেছেন। এমনকি এসব অবৈধ মরণঘাতী যান চলাচলের কারণে লক্ষ লক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিকদের আসা যাওয়ার পথে মারাত্নক বিঘ্নতা সৃষ্টি হচ্ছে। শুধু তাই নয়-রাস্তা পারাপারে এই সব যন্ত্রচালিত গাড়ীগুলাে অনেক সময় বেপরােয়া গতিতে গায়ের উপর উঠে পড়ে দুর্ঘটনাও ঘটায় বলে প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায়। অন্যদিকে এই সব অবৈধ মরণঘাতী বান চলাচল বক্ষের ব্যাপারে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক বরাবরে অতিশয় স্মারকলিপি প্রদান করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এছাড়াও এসব অবৈধ যানের প্রতিটি গাড়ীতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযােগ দিয়ে প্রতিদিন ব্যাটারীতে চার্জ দেওয়ার কারণে সরকার হারাচ্ছে বিদ্যুৎ খাতে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। অপরদিকে বিদ্যুতের অপচয়ের কারণে চারিদিকে লােডশেডিং এর তীব্রতা বেড়ে গেছে। তবে এসব অবৈধ গাড়ী চলাচলের নির্দেশ দাতারা বর্তমানে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন বলে সূত্রে জানা যায়। সর্বশেষ সংবাদে জানা যায় যে, এ সব অবৈধ মরণঘাতী যান চলাচলের নির্দেশ দাতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) অভিযােগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা। অপর দিকে সর্বশেষ সংবাদে জানা যায় যে, এই সমস্ত অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবীতে সিটি বাস মিনিবাস হিউম্যান হুলার ওয়ার্স এসােসিয়েশন পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, চট্টগ্রাম ও সভাপতি, মেট্রো আরটিসি কমিটি বরাবরে জোর দাবী জানিয়ে অভিযােগ প্রদান করেন। গােপন সূত্রে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল এসব গাড়ীগুলাে থেকে চাঁদা উত্তোলন করেন বিশেষ করে অবৈধ সিএনজি থেকে চাঁদা আদায় করার দায়িত্বে আছেন (১) বড়ুয়া বাৰু প্রকাশ দাদা, অবৈধ ব্যাটারী চালিত উমটম থেকে চাঁদা আদায় করেন (২) মােহাম্মদ আলী। এইচ.পাওয়ার সরকারী ভাবে বৈধ এবং অবৈধ গাড়ী থেকে চাঁদা তুলেন গণ পরিবহন চাদা খ্যাত মােহাম্মদ সােহাগ নামে পুলিশের এক দালাল। জানা যায় ঐ চাদাবাজ সােহাগ মধ্যম হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ সাব ইন্সপেষ্টর নাছির উদ্দিনের নামে চাঁদা করত বলে সূত্রে জানা যায়। মধ্যম হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ নাছির উদ্দিন যখন গত অক্টাম্মর মাসে অন্যত্র বদলী হওয়াতে উল্লেখিত চাঁদাবাজ সােহাগ এবং মােহাম্মদ আলী চাঁদা উত্তোলন আপতত বন্ধ রাখেন চাঁদাবাজ সােহাগ। উক্ত পরিস্থিতিতে যখন তার নিজের পকেট খালি তখন ১৪৪১ নামীয় সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সহ-সভাপতি মােঃ বিপ্লব সাহেবের বিরুদ্ধে চাদাবাজির অপবাদ দিয়ে উনার সম্মান এবং উনার সংগঠন ১৪৪১ এর মানহানি করার চেষ্টায় কয়েক জন সাংবাদিককে টাকার বিনিময়ে গত ০৫/১১/২০২০ ইং তারিখে দৈনিক বিজয় বাংলা অনলাইন পত্রিকায় একটি মিথ্যা, বানােয়াট, উদ্দেশ্যপ্রনােদিত সংবাদ প্রচার করে। কারণ যখন সে চাঁদা পাচ্ছে না তাই ১৪৪১ নামে একটি সংগঠনের বৈধ এইচ.পাওয়ার গাড়ীগুলাে যখন প্রধান সড়কে সরকারী বন্ধ ঘােষনা করা হয় গত ১১.০২.২০২০ খ্রিঃ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার যাত্রী ও পন্য পরিবহন সভার কার্য বিবরনী প্রেরন করেন। তাতে উল্লেখ আছে রােড নং-১৮ ইপিজেড মােড় হতে কলসী দিরঘী রােড হয়ে আনন্দ বাজার পর্যন্ত ফেরত একই পথে। রােড নং-২২ ফ্রিপাের্ট কলসী দি্ঘীর পাড়, বাদামতল, কার্টুন ক্যাক্টরী, ধুমপাড়া, পুলিশ ফাড়ি, বাকের আলী ফকিরের টেক, চান্দার পাড়া, আনন্দবাজার পর্যন্ত ফেরত একই পথে। সভায় এসব পরিবহনের অনুমতি দেন ডিসি ট্রাফিক (উত্তর), সিএমপি, চট্টগ্রাম। সভার কার্য বিবরনীতে রােড পারমিট অনুমােদন প্রদান করেন মােহাম্মদ শহীদুপ্লাহ, উপ-পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার), বিআৱটিএ, চট্টগ্রাম বিভাগ, চট্টগ্রাম ও সদস্য সচিব, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার যাত্রী ও পন্য পরিবহন কমিটি। উক্ত কার্যকরী স্মারক নং-৩৫.০৩.০০০২.০০১.৩১.০৭২.১৩.৭৭, তাং-১১/০২/২০২০ খ্রিঃ। উক্ত স্মারকে শুধুমাত্র উল্লেখ আছে কলসী দিখী রােড হয়ে আনন্দবাজার পর্যন্ত একই পথে। রােড নং-১৮ ও রােড নং-২২ এইচ.পাওয়ার চলার অনুমতি। সিএনজি, টমটম অবৈধ বলে ঘােষনা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন