ডিএসসিসির ৬৭৩১.৫২ কোটি টাকার বাজেট পাস

রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২১-২২ অর্থবছরের ৬৭৩১.৫২ কোটি টাকার বাজেট পাস করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২য় পরিষদের ৮ম করপোরেশন সভায় সর্বসম্মতভাবে এ বাজেট পাস করা হয়।

সভায় ২০২০-২১ অর্থবছরের ৬০৪৯.৮০ কোটি টাকার সংশোধিত বাজেটও অনুমোদন দেওয়া হয়।

এছাড়াও সভায় প্রথমবারের মতো ১ জন কর্মকর্তাকে ‘শুদ্ধাচার পুরষ্কার’ ও ১ জন কাউন্সিলরকে ‘শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর’ হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।

কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হককে শুদ্ধাচার পুরষ্কার ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদকে শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর হিসেবে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “এ বাজেট করপোরেশনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজেট। কিন্তু আমরা এখানেই থেকে থাকতে চাই না।

প্রতি বছরই আমরা আরও বড় পরিসরে ঢাকাবাসীর কল্যাণে কাজ করতে চাই। সেজন্য ক্রমাগত আমাদের রাজস্ব আহরণের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।সকলের সহযোগিতায় আমরা আমাদের রাজস্ব আহরণের সক্ষমতা বাড়াতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি।”

সরকারের নীতিমালা থাকলেও আগে কখনো কর্পোরেশন হতে কাউকে শুদ্ধাচার পুরষ্কারে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি কিন্তু প্রথমবারের মতো আমরা এ কার্যক্রম শুরু করেছি জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “মানুষের ওপর করের বোঝা না চাপিয়ে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা সম্ভব – সেটা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করেছেন আমাদের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা।

তিনি কর্মকর্তা হিসেবে যেমন অত্যন্ত দক্ষ তেমনি জনবল স্বল্পতা ও বিদ্যমান জনবলের সক্ষমতা অতিক্রম করে প্রতিটি কাজ নিজে নিবিড়ভাবে তদারকি করেছেন বলেই আমাদের রাজস্ব আহরণ বেড়েছে।”

নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আমার সাথে যারা কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, আমি তাদের মধ্যে উদ্যম, উদ্যোগ, সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা পেয়েছি।

জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদের কাউন্সিলরবৃন্দের আন্তরিকতা ও নিরলস পরিশ্রম, জনকল্যাণে আপনাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করি এবং সেই লক্ষ্যেমাত্রা কিছুটা হলেও যখন অর্জিত হয় – তখনই আমরা সন্তুষ্টি লাভ করি ও আত্মতৃপ্তি উপলব্দি করি।

কিন্তু এত ত্যাগ, কর্মোদ্যগের পরেও জনপ্রতিনিধিদের কখনো সেভাবে কোনো স্বীকৃতি প্রদান করা হয় না। একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ নানারকম স্বীকৃতিতে কখনো জনপ্রতিনিধিদের সেবা ও ত্যাগের মূল্যায়ন করা হয় না।

কিন্তু আমরা মনে করি, যারা জনকল্যাণে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখেন তাদের কর্মস্পৃহা বাড়ানো এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদেরকে উৎসাহিত করার জন্য স্বীকৃতির প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য আমরা কর্পোরেশন হতে প্রথমবারের মতো শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে।”

শুদ্ধাচার পুরস্কার হিসেবে আরিফুল হককে তাঁর মূল বেতনের ১ মাসের বেসিক, ১টি ক্রেস্ট, ১টি সনদ এবং শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর হিসেবে মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদকে ৫০ হাজার টাকা, ১টি ক্রেস্ট, ১টি সনদ প্রদান করা হয়েছে।

সভার শুরুতে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত কাউন্সিলর জিন্নাত আলী স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

দক্ষিণ সিটির সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও কাউন্সিলরবৃন্দ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।