নড়াইলের লোহাগড়ায় ডাক্তারের অদক্ষতায় রোগীর মৃত্যু

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় আল-ইসলামিয়া ক্লিনিকে ডাক্তারের অদক্ষতায় সিজারিয়ান রোগীর মৃত্যু। এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়, একের পর এক অপারেশন রোগীর মৃত্যু ঘটছে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও)ডাঃআব্দুল্লাহ আল মামুনের হাতে।
১৫/০৭/২১ ইং আনুমানিক দুপুর ২টার সময় সিজারিয়ান অপারেশন করেন ডাঃমামুন। অদক্ষ এই ডাক্তারের ভুল অপারেশনে আনুমানিক রাত ১১.৩০ টার সময় রোগীর মৃত্যু হয়। রোগী কেয়া বেগম নড়াইল সদরের শুম্ভু ডাঙ্গা গ্রামের আরিফুল ইসলাম এর স্ত্রী। বাবার বাড়ি লোহাগড়ার দিঘলিয়া ইউনিয়নের বাটিকাবাড়ি গ্রামের মিরাজ শেখ এর মেয়ে কেয়া বেগম।প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের এই হত্যার বিচার পাওয়ার আকুতি জানান নিহতের স্বজনরা ।পরে উক্ত ঠিকানায় তার স্বজনরা লাশ নিয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ডাঃমামুন অপারেশনের কোনো অভিজ্ঞতা নেই,তিনি এ্যানেস্থেসিয়ার ডাক্তার।রোগীর স্বজনদের অভিযোগ ডাঃমামুন অনভিজ্ঞ ডাক্তার এবং তিনি খাম-খেয়ালিপনা করে আমাদের রোগীকে মেরে ফেলেছেন।প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ এই ডাক্তার নামক কসাইকে শাস্তির আওতায় আনা হোক।
খোঁজ খবর নিয়ে আরো জানা যায় লোহাগড়ায় কয়েকটি ক্লিনিকে ডাঃমামুনের হাতে কয়েকমাসের ব্যবধানে ৫-৬ জন সিজারিয়ান রোগীর মৃত্যু ঘটেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্লিনিকের মালিক বলেন, কিছুদিন আগে আমার ক্লিনিকে ডাঃমামুন সাহেব সিজারিয়ান অপারেশন করেন। কিন্তু অনভিজ্ঞ ডাক্তার হলে যা হয়,অসাবধানতা বসোতো রোগীর জরায়ু কেটে যায় এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রোগী মারা যায়।তার ভুলের কারনে রোগীর স্বজনদের জরিমান বাবদ অনেক অর্থ আমাকে বহন করতে হয়েছে।এটা হত্যা বলে আমি মনে করি,এর দায় আমি ক্লিনিক মালিক একা নেবো কেনো? সম্পুর্ন দায়ভার ডাক্তারের।


বিজ্ঞাপন

ঐ ক্লিনিক মালিক আরো বলেন, উনিতো ডাক্তার না খুনি।এরকম বিপদে ফেলানোর বিচার আল্লাহর কাছে দিলাম।