বগুড়ার শিকারপুর মৌজার ১২ দাগের ৩ একর ০৯৬ শতক জমি নিয়ে উত্তেজনা : ওয়ারিশদের হুমকি–ধামকির অভিযোগ

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

বগুড়া প্রতিনিধি  : বগুড়ার শিকারপুর মৌজার (জে.নং–৭০, খতিয়ান নং–১৭৯ ও ছিয়েস খতিয়ান নং–১৮০) এর অধীন মোট ১২টি দাগে ৩ একর ০৯৬ শতক জমি নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। জমির দাগ নম্বর, ঐতিহাসিক ক্রয়–বিক্রয় দলিল এবং ওয়ারিশদের নামসংক্রান্ত নতুন তথ্য সামনে আসায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।


বিজ্ঞাপন

মিছু সোনার (পিতা: সামিরা সোনার)–এর উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জমির দাগগুলো হলো— ৮৫৭, ১৩৬০, ১৪৫৬, ১৪৮৪, ১৫২৩, ১৫২৭, ১৫২৯, ১৫৩০, ১৫৪৭, ১৭০০, ১৭৩৭ এবং ১৪৭১–৩৪১৪, যার মোট পরিমাণ ৩ একর ০৯৬ শতক। পরিবার দাবি করছে, এই জমি দীর্ঘদিন ধরে তাদের ভোগদখলেই রয়েছে।

ঐতিহাসিক দলিল অনুযায়ী, মিছু সোনারের দ্বিতীয় স্ত্রী রইরন বিবি ৭ মার্চ ১৯৩৬ তারিখে দাগ নং ৮৫৭, ১৫৩০ ও ১৪৮৪ মিলিয়ে ২৩ শতক জমি কবলা দলিলের মাধ্যমে অছিম উদ্দিন প্রাং (পিতা: মিছু প্রাং; আদি সাকিন কুকরুল, হাল সাকিন শিকারপুর)–এর কাছে বিক্রি করেন।


বিজ্ঞাপন

পরবর্তীতে অছিম উদ্দিন প্রাং উক্ত জমির ১০ শতক বিক্রি করেন আব্দুল হামিদ (পিতা: জানিব উদ্দিন প্রাং)–এর নিকট। দলিল নং ৭৭২২, বিক্রয় তারিখ ২১ ডিসেম্বর ১৯৪৮। দলিল অনুযায়ী মালিকানা এমআর খতিয়ান নং ১৮০–এ অছিম উদ্দিন ও আব্দুল হামিদের নামে হস্তান্তর হয়।


বিজ্ঞাপন

মিছু সোনারের ওয়ারিশ হিসেবে চিহ্নিত— মৃত মফিরন বেওয়া,  মৃত রইরন বেওয়া,  মৃত বাহার উদ্দিন পাইকার (পিতার নাম নথিতে ভুল বা অনুল্লিখিত থাকার অভিযোগ) এবং  ময়েন উদ্দিন পাইকার।

ওয়ারিশদের অভিযোগ—জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত হুমকি–ধামকি প্রদান করা হচ্ছে, যা তাদের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। তারা বলেন, “দলিল–খতিয়ান আমাদের পক্ষে পরিষ্কার, কিন্তু জোর করে জমি দখলের চেষ্টা চলছে।”

জমি বিরোধে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় পরিবারটি প্রশাসন ও আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে। দলিল, খতিয়ান ও রেকর্ড যাচাই–বাছাই শেষে জমির প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

👁️ 48 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *