
রুবেল রানা, সালথা (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় পুকুরের মাছ ধরা–সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক কৃষকের বসতবাড়িতে প্রতিপক্ষের হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাহিরদিয়া গ্রামের বাদশা মোল্লার ছোট ভাই ওলিয়ার রহমানের সঙ্গে একই গ্রামের হেমায়েত মোল্লার সমর্থকদের দীর্ঘদিন ধরে পুকুর ঘিরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে গত ২১ ডিসেম্বর বাদশা মোল্লা ও তার স্ত্রী মোছা. মর্শিদা বেগম সালথা থানায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, অভিযোগ করার পরদিন পুলিশ তদন্তে ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে হেমায়েত মোল্লার সমর্থক
মোতাহার মোল্যার ছেলে দবির মোল্যা (৪০), মতিয়ার মোল্যার ছেলে হেফায়েত মোল্যা (৪০), সালাম মোল্যার ছেলে আব্দুল হক সাহেব (৫০), এবং খালেক শেখের ছেলে জামাল শেখ (৪০)সহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওলিয়ার রহমানের বাড়িতে হামলা চালায়।

হামলাকারীরা বসতঘরের টিন, দরজা-জানালা ভাঙচুর, ঘরের ভেতরের আসবাবপত্র তছনছ করে ফেলে। এ সময় পরিবারের নারী ও শিশুরা প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ভুক্তভোগী ওলিয়ার রহমান বলেন, “পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল। থানায় অভিযোগ করার জেরেই প্রতিপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে এই হামলা চালিয়েছে। আমরা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবলুর রহমান খান জানান, “হামলার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
