রোহিঙ্গা সঙ্কট স্থায়ী সমাধানে সহায়তার কথা পুনর্ব্যক্ত

আন্তর্জাতিক এইমাত্র জাতীয়

নিজস্ব প্রতিনিধি : ইউরোপীয় কাউন্সিলের রাষ্ট্রপতি চার্লস মিশেল রোহিঙ্গা মানবিক সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য বাংলাদেশে ইইউর অব্যাহত সহায়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি ইইউতে রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহকে ইইউতে নিযুক্ত বাংলাদেশের নবনিযুক্ত হেড অব মিশনকে আজ এখানে তার চিঠিপত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি মিশেল ২০১২ সালের ডিসেম্বরে মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার আগের বৈঠকের কথা স্মরণ করেছিলেন। রাষ্ট্রদূত সালেহ ইউরোপীয় কাউন্সিলের রাষ্ট্রপতির কাছে রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
রাষ্ট্রদূত সালেহ রাখাইন রাজ্যে নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য অস্থায়ীভাবে বাংলাদেশে আশ্রয়প্রাপ্ত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থা অর্জনের জন্য বিশ্বাসযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন রাষ্ট্রদূত সালেহ।
রাষ্ট্রপতি মিশেল জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে বাংলাদেশের ব্যস্ততা স্বীকার করেছেন এবং জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ ফোরামের (সিভিএফ) বর্তমান রাষ্ট্রপতি হিসাবে উল্লেখ করেছেন। রাষ্ট্রদূত সালেহ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মতবিনিময় ও আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যে একটি নিবেদিত দ্বিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্ম স্থাপনের পরামর্শ দেন। তিনি এই বছরের শেষে ইউকেতে ইউএনএফসিসিসি সিওপি -26-র নেতৃত্বের সময় ব্যক্তিগতভাবে বা ভার্চুয়ালভাবে একটি সিভিএফ-ইইউ নেতাদের সভা বৈঠক করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি মিশেল এই পরামর্শগুলির ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত পারস্পরিক স্বার্থের traditionalতিহ্যগত ক্ষেত্রের বাইরে বাংলাদেশ-ইইউ অংশীদারিত্বের ক্ষেত্র প্রসারিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি মিশেল অন্যদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন, মাইগ্রেশন এবং মানবাধিকার বিষয়গুলিতে আরও জড়িত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
রাষ্ট্রদূত সালেহ তার প্রাথমিক সুবিধার্থে ইউরোপীয় কাউন্সিলের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ জানান।
বেলজিয়ামে বিদ্যমান স্বাস্থ্য বিধিবিধান অনুসরণ করে এই বৈঠক হয়েছে। রাষ্ট্রদূতের সাথে ছিলেন মিশনের কাউন্সিলর (বাণিজ্য) মোঃ সাফিউল আজম এবং মিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) কানিজ ফাতেমা।


বিজ্ঞাপন