উড়বে আখাউড়া!

উপ-সম্পাদকীয়/মতামত

মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী : আখাউড়া স্থলবন্দর সংলাপ হলো! ব্যবসায়ী, স্থলবন্দর, বিজিবি ও সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতেতে আলোচনা হয়।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে আখাউডা বাসে ও ট্রেনে কম খরচে আসা যায়, ঢাকা থেকে আখাউড়া ১৩০কি.মি; বেনাপোল ২৪৩কি.মি; সময় লাগে সোয়া ৩ঘন্টা ও সাড়ে ছয় ঘন্টা; বুদ্ধিমান ভ্রমণকারীরা দিল্লি, চেন্নাই মুম্বাই গেলে আগরতলা হয়ে যান ত্রিপুরা সীমান্ত থেকে আগরতলা এয়ারপোর্ট মাত্র ৮ কি.মি. সময় লাগে ২০মিনিটের কম;
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের আদি বাড়ি কুমিল্লায়, আগরতলায় জীবেনযাত্রার ব্যয় কম আতিথেয়তা ও সমাদরে আগরতলা অনেক আন্তরিক। চিকিৎসাগামীদের জন্য দিল্লি, চেন্নাইয়ের ফ্লাইট সস্তা
চিকিৎসার জন্য যারা যান, তাদের জন্য সময় ও অর্থ সাশ্রয়ী ইত্যাদি অনেক তথ্য!।


বিজ্ঞাপন

আমদানি নির্ভর পণ্যের ক্ষেত্রে ইউরোপ বা দূরপ্রাচ্যোর দেশের তুলনায় ভারত থেকে ভাড়া ও সময় কম লাগে। দুদেশের যৌথ প্রকল্প ও প্রথাগত কারণে যাত্রী যাতায়াতও বেড়ে গেছে। এসব আমদানিকার ও যাত্রীদের জন্য বেনাপোল, ভোমরা, দর্শনা, সোনামসজিদ, হিলি, বুডিমারি, ইত্যাদির মধ্যে আখাউড়াকে আদর্শ
চেকপোস্ট করার জন্য।
মেগাপ্লানের আওতায় পরিকল্পনা প্রণয়ন।
আন্তর্জাতিক মানের চেকপোস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠা।
যাত্রী ও কার্গো ব্যবস্থাপনা খরচ ও সময় সাশ্রয়ীকরণ।
প্রথমে যাত্রীসুবিধা নিশ্চিতকরণ।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সুবিধা তৈরিকরণ।

কাস্টমসের করণীয়:
সকল এজেন্সীর সমন্বয়।
মেগাপ্লান তৈরির প্রাথমিক আয়োজন।
যাত্রীদের দ্রুত সেবাদান সমন্বয় ও ত্বরান্বিতকরণ।
আমাদানি পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধি ও অবাধকরণ।
প্রস্তাবনা তৈরি করে এনবিআরে প্রেরণ।

স্থলবন্দরের করণীয়
আগামি ২০বছরের উপযোগী পরিকল্পনা তৈরি
যাত্রী ও কার্গো সেবার অবকাঠামো তৈরি
আধুনিক যাত্রী হ্যন্ডলিং ভবন তৈরি
প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট আমদানি ও প্রস্তুতি গ্রহণ।
বর্তমান কার্গো সেবার জন্য ফর্কলিফট ও সরঞ্জাম সংগ্রহ
যাত্রী স্ক্যানার স্থাপন।
দুটো ওজন পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন। বিদ্যমান ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতকরণ।