বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে —-আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম

Uncategorized জাতীয়

বিশেষ প্রতিবেদক ঃ জননেতা কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার শ্লোগান দিয়ে তারা চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। কানাডার আদালতও বলেছিল সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার ৩১ মে শহীদ আহ্সান উল্লাহ্ মাস্টারের ১৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির ভাষনে এ কথা বলেন।
গাজীপুরের মাটি ও মানুষের অবিসংবাদিত নেতা, মরোণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত জাতীয় বীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহ্সান উল্লাহ্ মাস্টার এমপি’র ১৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার ৩১ মে, বিকাল ৩ টায় শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জননেতা কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম।
প্রধান অতিথির ভাষনে জননেতা কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার শ্লোগান দিয়ে তারা চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। কানাডার আদালতও বলেছিল সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি। এরা সকল সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়ে থাকে। দেশের সকল খুনী সন্ত্রাসীদের জায়গা হয় এদের দলে। এ দেশের মানুষ বার বার তাদের আসল চরিত্র দেখেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন তারা মেনে নিতে পারছে না। তাই তারা তাকে নানাভাবে উৎখাত করতে চায়। তারা প্রধানমন্ত্রীকে খুন করার কথাও বলে বেড়ায়। দেশে অশুভ শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে দাড়াতে পারেনি শুধু মাত্র শেখ হাসিনার কারণে। সন্ত্রাসীদের কোন জায়গা বাংলাদেশে হবে না। বাংলাদেশ হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গণতান্ত্রিক দেশ।
জননেতা কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, কিছুদিন পূর্বে বিএনপির ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীরা লাঠি,রট, রামদা, লোহার পাইপ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে। আমাদের ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে এই খুনিদের সংগঠন, চাচ্চুদের সংগঠনকে প্রতিহত করেছে। তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তারা পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করে ফায়দা লুটতে চায়।
তিনি বলেন, তারা যদি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে তাহলে আমরা তাদের বাধা দিবো না। এটা আমাদের অঙ্গিকার। কিন্তু তারা যদি হুমকি দেয়, হত্যাকাণ্ড ঘটানোর মতো ভাষায় বক্তব্য দেয়, মানুষের জীবন নিয়ে ছিনি মিনি খেলে তাহলে দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করা হবে। আমরা কোন খুনিদের কাছে মাথানত করবো না। আমরা বীরের জাতি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাদেরকে প্রতিহত করবো। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কথা স্বরণ করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আজ থেকে ১৮ বছর আগে বিএনপি জামাতের প্রত্যক্ষ মদদে সন্ত্রাসীরা গাজীপুরের এই কীর্তিমান মানুষকে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের আড়াল করার জন্য বিএনপি-জামাত অনেক চেষ্টা করেছে। শুধুমাত্র গাজীপুরের মানুষ ও সারা দেশের মানুষের আন্দোলনের কারণে তারা সেটি পারেনি। তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দেশে দুঃশাসন কায়েম করেছে, অত্যাচার, হত্যা, ধর্ষণ, এমন কোনও অপকর্ম নেই তারা করেনি। আমাদের এটি ভুলে গেলে চলবে না যে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের মত এমন একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা আর কোনদিন খুঁজে পাবো না। কিন্তু তার যে আদর্শ ছিল সেটা আমাদের মনে রাখতে হবে। উনি বিএনপি-জামাতের অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি জীবন দিয়েছেন। তার মত আদর্শবান মানুষই যেন হয় আমাদের আদর্শ।
তিনি বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জীবন দিয়ে গেছেন। তার রক্তের বিনিময়ে আমরা খুনি বিএনপি জামাতের হাত থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে পেরেছি। আমাদের মনে রাখতে হবে এই বিএনপি-জামাত এখনও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রিক বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হয়েছে সেটা মেনে নিতে পারছে না। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে ঘুরে দাঁড়াক তারা এটা কখনোই চায় না। তাই তারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। খুনি জিয়া ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, সহযোগিদের চাকরি দিয়েছে। খালেদা জিয়া তাদের সংসদে নিয়েছেন। জাতির পিতার হত্যাকারীদের সাথে জিয়া যেমন হাত মিলিয়েছে, তেমনি খালেদা জিয়াও মিলিয়েছে। তাই তো তারা এখন স্লোগান দেয় ৭৫ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহ্সান রাসেল এমপি।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি জননেতা নির্মল রঞ্জন গুহ।
বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা একেএম আফজালুর রহমান বাবু।
বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. আজমত উল্লা খান
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মোল্লা, ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সফিক, উপ দপ্তর সম্পাদক রাহুল দাস।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি মোঃ আসাদুর রহমান কিরণ, সহ সভাপতি অ্যাড. মোঃ ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতা উল্লাহ মন্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহি উদ্দিন আহমেদ মহি, কাজী মোঃ ইলিয়াস আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সায়েম, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক কেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, কার্যনির্বাহী সদস্য আবু জাফর, সদস্য আনিসুর রহমান টিপু।


বিজ্ঞাপন
👁️ 11 News Views