নিজস্ব প্রতিনিধি (ঝালকাঠি) : ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রমজানকাঠি কারিগরি ও কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ পীযূষ কান্তি মন্ডল ও সাবেক সভাপতি কুদ্দুস খানের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ২১ অক্টোবর, বেলা ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাসে কয়েকশত লোকের উপস্থিতিতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত হয়। ১নং গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক
রিয়াছুল আমীন জামাল সিকদার এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আঃ মতিন খান, সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এমদাদুল হক সুমন মোল্লা, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল হক, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের জমিদাতা মোঃ ইউনুছ তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ তালুকদার, সাবেক পুলিশ সদস্য হেলাল হাওলাদার, ছাত্রদল নেতা মোঃ মাসুম, ইমরান হাওলাদারসহ এলাকার ২ শতাধিক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বক্তারা বলেন, পঁচাত্তরোর্ধ্ব বয়োঃবৃদ্ধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পীযূষ কান্তি মন্ডল ও শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি কুদ্দুস খানের যোগসাজশে কলেজ টি কুক্ষিগত করে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
কুদ্দুস খান দীর্ঘ ১৬/১৭ বছর কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও একাধারে তথাকথিত শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতির পদ দখল করে নানা রকম ফায়দা হাসিল করেছেন।
কলেজের এসব পদপদবি ব্যবহার করে ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগের আমলে নিজে রাজনৈতিক ও ব্যাবসায়িক সুবিধা গ্রহণ করে কয়েক শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।
কুদ্দুস খান নামে বেনামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে অগ্রণী ব্যাংক সহ কয়েকটি সরকারী ব্যাংক থেকে প্রায় ৫ শত কোটি টাকার লোন গ্রহণ ও আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। কুদ্দুস খান স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে আপন বোন জামাই কাদের হাওলাদার, ভাগ্নি মোসা: পপি, ভাগ্নি জামাই রমিজ হাওলাদার, ভাইয়ের বউ সাবিনা ইয়াসমিনকে অবৈধভাবে কলেজ অফিসিয়াল পদে চাকরি দিয়ে কলেজ ফান্ডের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কোন ক্যাশ, লেজার বই, বিল ভাউচার সংরক্ষণ করা হয়নি।
শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামক ভুয়া অকার্যকর ফাউন্ডেশন সৃষ্টি করে সংস্থা পরিচালিত পকেট কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে। বক্তারা অবিলম্বে শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামক ভুয়া ও অকার্যকর সংস্থা পরিচালিত ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল করে সাধারণ নিয়মে প্রশাসনের অধীনে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের দাবি জানান।
এলাকাবাসী কলেজের অধ্যক্ষ পীযূষ কান্তি মন্ডল ও শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি কুদ্দুস খানকে অবাঞ্চিত ঘোষণা ও শাস্তি দাবি করে শ্লোগান দেয়।