সাতক্ষীরার আশাশুনির সংবাদ

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

!!  আশাশুনির বড়দল কলেজিয়েট স্কুলে অফিসের তালা ভেঙ্গে চেয়ার দখলের অভিযোগ, আশাশুনিতে চাঁদার দাবীতে হামলায় আহত ৩, আশাশুনিতে ইমাম-মুয়াজ্জিনদে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত, আশাশুনিতে  কপোতাক্ষ নদের রিং বাঁধ ভেঙ্গে ৪শ বিঘা মৎস্য ঘের প্লাবিত :  ২০লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশংকা,আশাশুনিতে  মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস ২০২৫ উদযাপিত  !!


বিজ্ঞাপন

বিএম আলাউদ্দীন (আশাশুনি) :  আশাশুনি উপজেলার বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলে অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের চেয়ার দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমান জানান, আমি নিয়মিত কমিটির সিদ্ধান্তে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বভার গ্রহন করি। ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী দায়িত্ব পেতে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমার দায়িত্বভার বহাল রাখেন। আমি দায়িত্ব পালনকালে তিনি সন্ত্রাসীদের নিয়ে হুমবী ধামকী দিতে থাকলে থানায় জিডি করি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চল, খুলনা চিঠি ইস্যু করলে মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন (নং ১০৯৬২/২৪) করি। মহামান্য হাইকোর্ট স্টে অর্ডার করেন। যার মেয়াদ শেষ হবে ১৬/৯/২৫ তারিখে। স্টে অর্ডার ভ্যাকেট করতে মোহাম্মদ আলী সুপ্রীম কোর্টের এ্যাপিলিয়েড ডিভিশনে মমলা দায়ের করলে মহামান্য আদালত “নো অর্ডার” রায় প্রদান করে আমার পক্ষে রায় দেন। আমার দায়ের করা ১০৯৬২/২৪ মামরার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি সর্ব সম্মতিক্রমে মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাকে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এর দায়িত্ব পালনের জন্য রেজুলেশন করেছেন। মহামান্য হাইকোর্ট আমার মামলায় রুল Absolute” করে রায় দিয়েছেন। অর্থাৎ আমার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত পালন বৈধ। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মতিক্রমে বুধবার (২৮ মে) প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে অফিসে তালাবদ্ধ করে স্থান ত্যাগ করলে মহামান্য হাইকোর্টের স্টে অর্ডার অমান্য করে, কমিটির বিনা অনুমতি ও রেজুলেশন ছাড়াই সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে চেয়ারে বসেন এবং কাগজপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথি তছরুফ করেন। এঘটনায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী সুধীজনের মধ্যে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। সংক্ষুব্ধরা অভিযোগ করেন, ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক্ষের নানাবিধ কারনে তার বিভাগে কাম্য শিক্ষার্থী না থাকায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। ঠিকমত ক্লাশ না করাসহ তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। উপজেলা ও জেলা প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের জানান, অফিস কক্ষ খোলা ছিল, আমি কোন প্রকার অনিয়ম ছাড়াই অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে দায়িত্ব গ্রহন করেছি।


বিজ্ঞাপন

আশাশুনিতে চাঁদার দাবীতে হামলায় আহত ৩


বিজ্ঞাপন

বিএম আলাউদ্দীন (আশাশুনি) :  আশাশুনিতে দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় ৩জন আহত হয়েছে। এব্যাপারে থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার শ্রীউলা গ্রামের মৃত ছালাম সরদারের ছেলে মহাসিন সরদার একজন চাঁদাবাজ, মস্তান ও হিংস্র প্রকৃতির। মোজাম একমাস পূর্বে বাদী মৃত কেনা সরদারের ছেলে জিল্লুর রহমানের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেছিল। চাঁদা না পেলে তাকে ও পরিবারের সদস্যদের মারধর ও খুনজখমের হুমকী দিতে থাকে। ভয়ে বাদী ১০/১৫ দিন পূর্বে তাকে ৫ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়। বাকী টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে বাদী বিষয়টি গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে চাঁদাবাজ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এবং গত ২৭মে বেলা ৩টার দিকে বিবাদী ও অজ্ঞাতনামারা লোহার তৈরি গরু কাটা কাতাড়ী ও বাঁশের লাঠি নিয়ে বাদীর বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে টাকা দাবী করে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে কাতাড়ী দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারতে যায়। হাতদারা ঠেকালে রক্তাক্ত জখম হয়। কোন রকমে কাতাড়ী কেড়ে নিলে সকল বিবাদীরা মারপিট করে রক্তজমাট বাধা নিলাফোলা জখম করে। তারা ঘরে ঢুকে বাক্সে থাকা ৫৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। বাদীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মীম খাতুন ও মাতা আফিরন নেছা ঠেকাতে গেলে মারপিট, শ্লীলতাহানি ঘটায় ও গলায় থাকা ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয়। বসতবাড়ি ভাংচুর করে ২০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। বাদীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসআই নাহিদুল ইসলাম জানান, বিবাদী মহাসিনের নামে একাধিক মামলা আছে। অভিযোগের তদন্ত চলমান। থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল অদুদ জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আশাশুনিতে ইমাম-মুয়াজ্জিনদে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

বিএম আলাউদ্দীন (আশাশুনি) :  আশাশুনিতে বিভিন্ন জামে মসজিদের ঈমাম ও মুয়াজ্জিনদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে এ ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপন্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন। মাস্টার ট্রেইনার হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা রাখেন, আশাশুনি আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব ড. আবুল হাসান। উপজেলার প্রায় অর্ধ শত মসজিদের ঈমাম ও মুয়াজ্জিনদের অংশ গ্রহনে ওরিয়েন্টেশনে মসজিদ ও মুসল্লিদের জন্য ঈমাম ও মুয়াজ্জিনদের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং ইলাহি সমাজ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে করনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

আশাশুনির কপোতাক্ষ নদের রিং বাঁধ ভেঙ্গে ৪শ বিঘা মৎস্য ঘের প্লাবিত :  ২০লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশংকা

বিএম আলাউদ্দীন (আশাশুনি) :  কপোতাক্ষ নদের উপকূল রক্ষা রিং বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ৪শ বিঘা মৎস্য ঘের প্লাবিত। ২০লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশংকা। দিশেহারা হয়ে পড়েছে অর্ধ শতাধিক মৎস্য চাষী। বুধবার (২৮ মে) দুপুরের প্রবল জোয়ারে আশাশুনি উপজেলার দরগাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সুবেদখালী এলাকার কপোতাক্ষ নদের উপকূল রক্ষা রিং বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ওয়াপদা বাঁধ থেকে এই রিং বাঁধের দূরত্ব থাকায় জনসাধারনের জীবনের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে দরগাপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মুকুল জানান, বুধবার দুপুরের জোয়ারে নদী খনন করে তৈরি করা রিং বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে ৪শ বিঘার অধিক মৎস্য ঘের পানিতে ভেসে গেছে। কমপক্ষে ২০লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে মৎস্য চাষীরা। স্থানীয় রহমত আলী জানান, দুপুরের জোয়ারের তোড়ে আমার বাড়ীর পাশ থেকে অনেক খানি জায়গা এক বারে ভেঙ্গে পানি ঢুকে পড়ে। রাতের জোয়ার আসার আগে এই ভাঙ্গন আটকাতে না পারলে ওয়াপদা রাস্তা ভেঙ্গে গিয়ে ইউনিয়নের অনেক এলাকা ডুবে যাবে। পাউবোর আশাশুনি শাখার উপ-সহকারি প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, এটা মুলত ওয়াপদার বাঁধ না, কপোতাক্ষ নদ খননের ফলে সৃষ্টি হওয়া একটি রিং বাঁধ। দুপুরের জোয়ারে পানির চাপে রিং বাঁধ টি ভাঙ্গার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। রিং বাঁধ মেরামতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় বলেন, রিং বাঁধ ভাঙ্গার খবর পাওয়া মাত্রই আমি পাউবো সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবিহিত করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আশাশুনিতে মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস ২০২৫ উদযাপিত

বিএম আলাউদ্দীন (আশাশুনি) :  “একসাথে একটি পিরিয়ড বান্ধব বিশ্ব গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আশাশুনিতে মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে।
(২৮মে ২০২৫) বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্র কার্যালয়ে সানোফি ফাউন্ডেশনের এর অথার্য়নে অ্যাকশন এগেইনস্ট হাঙ্গার এর সহযোগিতায় এবং উত্তরন বাস্তবায়িত কেয়ার প্রকল্পের উদ্যোগে এ মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস উদযাপন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় বলেন, লবণাক্ততা প্রবণ এলাকাগুলোতে বিশেষ করে আশাশুনিতে মাসিক স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানে পরিষ্কার ও মিঠা পানির প্রাপ্যতা সীমিত এবং অপর্যাপ্ত স্যানিটেশনের কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে।

তাই এই ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মানুষদের মর্যাদা, স্বাস্থ্য ও সুস্থতা রক্ষায় নিরাপদ পানির সরবরাহ, মাসিকের সময় ব্যবহৃত সামগ্রীর সঠিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং মাসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সচেতনতা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আমিনুল কবীর সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত কিশোরীরা অংশগ্রহন করে। আলোচনা সভায় মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস ২০২৫ এর মূল নিবন্ধ পাঠ করেন অ্যাকশন এগেইনস্ট হাঙ্গার এর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার খালেদা হোসেন মুন। অনুষ্ঠানে কেয়ার প্রকল্পের পক্ষ থেকে দেওয়া মাসিক স্বাস্থ্যবিধি প্যাকেজ (স্যানিটারি ন্যাপকিন, গোসলের সাবান, কাপড় ধোয়ার সাবান ও লিকুইড এন্টিসেপটিক) আগত কিশোরীদের হাতে তুলে দেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় এবং মেডিকেল অফিসার ডা. আমিনুল কবীর।

👁️ 21 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *