কুয়েত প্রবাসী সাজ্জাদ ৬০ দিন পর প্রতারিত হয়ে দেশে ফিরলেন

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী  : ভালো চাকরির আশায় কুয়েতে গিয়েছিলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর সুকতাইল গ্রামের আনোয়ার সিকদারের ছেলে সাজ্জাদ সিকদার। কিন্তু মাত্র ৬০ দিন পরই চরম প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে তাকে।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, চলতি বছরের ২৬ আগস্ট বৈধ ভিসায় কুয়েত যান সাজ্জাদ। তবে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর মালিকপক্ষের কেউ তাকে গ্রহণ করতে আসে না। পরে এক সহৃদয় বাংলাদেশি তাকে আশ্রয় দেন। কয়েকদিন পর কোম্পানির সন্ধান মেলে, কিন্তু সেখানেই শুরু হয় সাজ্জাদের দুঃস্বপ্ন।

অভিযোগ অনুযায়ী, কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশি মালিক হাবিব মোল্লা (বরিশাল, বর্তমান সাভার), আতিকুর রহমান, ফারুক ও নজরুল খান মিলে গঠন করেছেন এক ভিসা ব্যবসায়ী চক্র। তারা শত শত শ্রমিকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে কুয়েতে পাঠালেও পরবর্তীতে ‘ভিসা বৈধ নয়’ বলে জানিয়ে শ্রমিকদের জোর করে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছেন।


বিজ্ঞাপন

সাজ্জাদ জানান, “কুয়েতে গিয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হয়েছে। রুম থেকে বের হতেও দেওয়া হতো না। প্রায় দুই হাজার দিনার খরচ করেছিলাম, সব শেষ।” গত ২৪ অক্টোবর তাকে জোরপূর্বক দেশে ফেরত পাঠানো হয়।


বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগী সাজ্জাদ ও তার পরিবার বাংলাদেশ দূতাবাস ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলেন, “হাবিব গং এই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে আরও অসংখ্য পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে।”

ব্র্যাকের তথ্য অনুযায়ী, গত আট বছরে ৩৫ হাজারের বেশি প্রবাসী দেশে ফেরার পর জরুরি সহায়তা পেয়েছেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও সূত্রে  জানা যায় প্রতিবছর ৭–৮ লাখ মানুষ বিদেশে পাড়ি জমান, যার একটি বড় অংশ দালাল ও অনিয়ন্ত্রিত এজেন্সির মাধ্যমে প্রতারিত হন।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রবাসী সাজ্জাদ সিকদারের মতো কেউ যেন আর প্রতারণার শিকার না হয়, সে জন্য শ্রম মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কার্যকর ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

👁️ 338 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *